পাতা:ধর্ম্মজীবন (প্রথম খণ্ড) - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

可5珊-{廿两1 SGS) আধিপত্য করিতে আরম্ভ করিতেছে । ঐতিহাসিক গবেষণা ও ভূতত্ত্ববিদ্যার আলোচনা প্ৰভৃতির দ্বারা জগতের সভ্যতার বিকাশের ক্রম সকল নির্দিষ্ট, হইয়াছে। এখন আর বলিবার উপায় নাই যে সত্যযুগ। পশ্চাতে তবে প্রাচীন ও অতীতের প্ৰতি লোকের যে অতিরিক্ত অনুরাগ ; তাহার একটা কারণ আছে। মানুষ যখন অতীতের সহিত বৰ্ত্তমানের তুলনা করে, তখন সেই তুলনার বিচারে অতীতকে অধিক সুন্দর দেখিবার কথা। মানুষের যে বর্তমানের জ্ঞান, তাহ প্ৰতিদিনের জীবনের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান । কিন্তু সে অভিজ্ঞতার মধ্যে সুখ দুঃখ, পাপ পুণ্য নানবিধ সামগ্ৰী আছে। বর্তমানে যেমন পাচটা সাধু দৃষ্টান্ত দেখিতেছি তেমনি অসংখ্য অসাধু দৃষ্টান্তওদেখিতেছি, যেমন দশজনের ব্যবহারে সুখ পাইতেছি, তেমনি অপর দশজনের ব্যবহারে দুঃখ পাইতেছি ; সুতরাং বৰ্ত্তমান বলিলেই, সে সমুদায় আমাদের স্মৃতি-পথে আরূঢ় হয় ; জনসমাজের চতুর্দিকের পাপ তাপের কথা স্মরণে আসে ; জাল, জুয়াচুরি, প্ৰবঞ্চনা, হত্য, প্রভৃতি যাহা কিছু প্ৰতিদিন দেখিতেছি ও শুনিতেছি সে সমুদায়ই মনে হয়। এ সকলকে পরিহার করিয়া আমরা বৰ্তমানের চিন্তা করিতে পারি না। কিন্তু অতীত কালের বিষয়ে আমাদের যে জ্ঞান আছে, তাহা কিরূপ ? তাহা সাহিত্য বা ইতিহাসিলন্ধ, না হয়। জনশ্রুতিলন্ধ। কিন্তু মানুষ কিরূপ কথা সাহিত্য বা ইতিহাসে লিখিয়া রাখে ? অথবা জনশ্রুতিতে বলে ? যাহা স্মরণীয়, যাহা কীৰ্ত্তনীয়, যাহা চিন্তনীয়,