Page:The history of the Bengali language (1920).pdf/166

From Wikisource
Jump to navigation Jump to search
This page has been proofread, but needs to be validated.

Appendix II

ব্যাকরণের সন্ধি

[১৩১৮ বঙ্গাব্দের সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা হইতে পুনর্মুদ্রিত]


একজন লোক নিজের রচনায়, কেমন করিয়া শব্দগুলিকে সন্ধির বন্ধনে বাঁধিয়া লইবে, ইহার শিক্ষার জন্য ব্যাকরণ নয়। যে সকল রচনায় সন্ধি-বন্ধন আছে, সেখানে কি উপায়ে পদবিচ্ছেদ করিয়া মূল শব্দগুলিকে চিনিয়া লইয়া অর্থ করিতে হইবে, তাহার শিক্ষার জন্যই ব্যাকরণের সূত্র। ব্যাকরণ শব্দের অর্থ হইতেই তাহা সূচিত হয়। ব্যাকরণে ব্যুৎপত্তির জ্ঞান হয়,—বিশ্লেষণপ্রণালীর শিক্ষা হয়। পদে পদে সন্ধি যোগ না করিয়া যদি কেহ সংস্কৃত গদ্য রচনা করেন, তবে তাঁহার রচনাকে কেহ দোষযুক্ত বলিতে পারেন না। ব্যাকরণে এমন সূত্র নাই যে সন্ধিযোগ না রাখিলে রচনা অশুদ্ধ হইবে। শব্দের রূপ বা ধাতুর রূপ, স্বতন্ত্র কথা। যে রূপ ধারণ করিলে শব্দের যে অর্থ হয়, কিংবা ক্রিয়াপদে যে কাল বুঝায়, তাহা হইল ভাষার মূল কথা; তাহা না মানিলে কোন পদের বা কোন শব্দের অর্থই হয় না। সন্ধি যোগ করা বা না করা, লেখকের সুবিধার কথা; উহা যে 'পুরুষেচ্ছয়া,' তাহার প্রাচীন উল্লেখ আছে। যেখানে সন্ধি যোগ হয়, সেখানে যে তাহা করিতেই হইবে, এটা হইল অর্ব্বাচীন যুগের সংস্কৃত রচনার একটা অস্বাভাবিক পদ্ধতি।

মানুষের প্রতিদিনের কথা কহিবার ভাষায় সন্ধিবন্ধনের কড়া নিয়ম থাকিতে পারে না; স্বাভাবিক উচ্চারণের সুবিধায় যতটুকু সন্ধির বাঁধন পড়িয়া যায়, ততটুকুই থাকে। বাঙ্গালায় আমরা গোলালু, মশারি প্রভৃতি যেমন বলি, বৈদিক ভাষা বা ছান্দসেও তাহাই দেখিতে পাই। যখন সন্ধিবাঁধনের কড়া নিয়মের যুগে বৈদিক ঋক্‌গুলির পদে পদে সন্ধি জুড়িয়া পুঁথি লেখা চলিতেছিল, তখন 'পদপাঠের' সৃষ্টি। সন্ধি জুড়িলে বৈদিক