Page:The history of the Bengali language (1920).pdf/175

From Wikisource
Jump to navigation Jump to search
This page has been proofread, but needs to be validated.
APPENDIX II
153

দিতেছি। অথ ঋতু; বৈ ঋচঃ (বৃহদ্দেবতা ২।১৩ ও ১।১৮) প্রভৃতি স্থলে যেমন সন্ধি নাই, পালিতেও তেমনি। দৃশ্যতে + অল্পাঃ = দৃশ্যতেঽল্পাঃ (বৃঃ ১।৮), দ্বে + অনুমতেঃ = দ্বেঽনুমতেঃ (বৃ, ৪।৮৮) প্রভৃতিতে পালির মত নিয়ম রহিয়াছে। তাহার পর শব্দরূপে সুদাঃ শব্দ, পালির মত "সুদাস্" রূপেই লেখা পাই (বৃ, ৬।৩৪)। আবার ওই পালির মত বৃহদ্দেবতা গ্রন্থে চতুসৃভিঃ স্থলে চতুর্ভিঃ, প্রথম পুরুষের তৃতীয়ার একবচনে অনুশাসতি, অসমাপিকাক্রিয়া বুঝাইতে 'য' স্থানে 'ত্বা' এবং 'ত্বা' স্থলে 'য' ইত্যাদি ইত্যাদি পাইয়া থাকি।

এখন যদি উচ্চারণ ধরিয়া বিচার করা যায়, তাহা হইলে এইমাত্র বলা চলে যে, পালির মত যদি অকারান্ত শব্দের ও-ঘেঁষা উচ্চারণ হইবেই (বিসর্গ পরে থাকাতেই হয় ত সেই প্রকার উচ্চারণের সৃষ্টি) তাহা হইলে সর্ব্বত্রই বিসর্গের উচ্চারণের লোপ, এবং ও-কারের উচ্চারণের প্রাধান্য থাকিবে। 'অ' পরে থাকিলে লুপ্তচিহ্ন রাখিবার ব্যবস্থা আছে, তাহাতে স্পষ্ট বুঝিতে পারা যায় যে, কোন অক্ষরই লোপ পায় না; কেবল প্রথম পদে যুক্ত উচ্চারণ টুকুরই তীব্রতার প্রাধান্য থাকে। বিসর্গের পর অকার ভিন্ন স্বরবর্ণ থাকিলে প্রথম শব্দটিতে 'ও' আওয়াজ রাখা অসম্ভব; পূর্ব্বে তাহা অন্য সূত্রের বিচারে বলিয়াছি। তাই সূত্রে কেবল বিসর্গ লোপের ব্যবস্থা আছে। গ-হ ব্যঞ্জন পরে থাকিলেও কেবল ওকার রহিয়া যায়। অর্থাৎ বিশেষ কিছুই হইল না। যেমন ছিল, তেমনি রহিল। ঠিক ঐরূপ আবার আকারের পরে বিসর্গ থাকিলে এবং বিসর্গের পর স্বরবর্ণ এবং গ-হ ব্যঞ্জন থাকিলে কোন সন্ধিই হয় না। বিসর্গের উচ্চারণ ঐ স্থলে বিশেষত্ব পাইয়া ফুটিয়া উঠিতে পথ পায় না; এই পর্য্যন্ত। তাহা হইলে বিসর্গের একটা সন্ধিই রহিল না, অথচ ঐ সন্ধি মুখস্থ করিতেই যত গোল ঘটে।

ক, খ, প, ফ প্রভৃতি পরে থাকিলেও বৈদিকে কোন সন্ধি হইত না; তবে যে সময়ে বিসর্গের প্রাধান্য দেওয়া হইয়াছিল, তখন বিসর্গের মূর্ত্ত উচ্চারণ 'স' রাখিতে হইয়াছে মাত্র। সাধারণ সন্ধির নিয়মে উহাই পাই। কাজেই এখানেও কোন সূত্রের প্রয়োজন হইল না। কয়েকটি